বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

শেরপুরে ধান ও চাল মজুত রাখার দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার :বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় চাল ও ধান মজুত রাখার দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে( ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা) অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন শেরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ সাবরিনা শারমিন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জগন্নাথপাড়ার গৌর গৌরাঙ্গ ভাণ্ডারে অভিযান পরিচালনা করে ২০০ মেট্রিক টন চালের মজুত পাওয়া যায়। অথচ তাদের ১০০ মেট্রিক টন চাল পর্যন্ত মজুত করার অনুমোদন আছে। এছাড়াও মজুত করা চালগুলো একমাসেরও বেশি সময় ধরে গুদামে রাখা আছে। কিন্তু ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে চাল মজুত রাখা অবৈধ। একারণে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রদীপ সাহাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলার জোয়ানপুর এলাকায় শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে ১ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন চাল ২ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক ধানের মজুত পাওয়া যায়। মিলের ও মজুতের লাইসেন্স শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের নামে থাকলে সেখানে এসিআই ফুডস লিমিটেডের লেবেল যুক্ত ধান-চাল পাওয়া যায়। ওই মিল ও গুদামেই ধান-চাল প্যাকেটজাত ও মজুত করে আসছিল এসিআই ফুডস লিমিটেড। এই অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
মিল ও গোডাউন ভাড়া নিয়ে ধান চাল প্যাকেটজাত ও মজুত করণের কথা স্বীকার করেন এসিআই ফুডস লিমিটেডের সিনিয়র অপারেশন অফিসার বদরুল ইসলাম। নওগাঁর মহাদেবপুরে লাইসেন্স থাকলেও তাঁরা শেঁরপুরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে ধান সংগ্রহ করে এখানে মজুত করি। এরপর সেগুলো চালে রূপান্তর করে সারা দেশে সরবরাহ করে থাকি।’ অভিযানে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন-এ-কাইয়ুমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, মিল ও গোডাউন ভাড়া দিয়ে আইন ভঙ্গ করেছে। প্রাথমিকভাবে তাদের সতর্ক করা হবে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন জানান, ধান-চালের অবৈধ মজুত বন্ধে ও মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com